#ম্যালেরিয়া বিশ্বের প্রাচীনতম রোগগুলোর অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ অব্দের শুরুতে চীনে এটি ‘অনুপম পর্যাবৃত্ত জ্বর’ (Unique periodic fever) নামে পরিচিত ছিলো। প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্য এ জ্বরের কারণে ধ্বংস হয়েছিলো বলে এটি ‘রোমান জ্বর’ নামেও পরিচিত। মধ্যযুগে একে ‘জ্বলা জ্বর’ বলা হতো।
#Malaria শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ইতালীয় বিজ্ঞানী টোরটি। ম্যালেরিয়া শব্দটি দুটি ইতালীয় শব্দ mal (অর্থ: দূষিত) এবং aria (অর্থ: বায়ু) নিয়ে গঠিত যার আভিধানিক অর্থ ‘দূষিত বায়ু’। তখনকার দিনে এই ধারণা প্রচলিত ছিল যে দূষিত বায়ু সেবনে #ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি হয়।
১৮৮০ সালে ফরাসি চিকিৎসক চার্লস ল্যাভেরন সর্বপ্রথম #ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের লোহিত রক্তকণিকা থেকে ম্যালেরিয়া পরজীবী আবিষ্কার করেন। এজন্য তাকে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
১৮৯৭ সালে ভারতে কর্মরত ইংরেজ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক রোনাল্ড রজ আবিষ্কার করেন Anopheles গণভুক্ত মশকী (স্ত্রী মশা) #ম্যালেরিয়া রোগের জীবানু একদেহ হতে অন্যদেহে বিস্তার ঘটায়। এ আবিষ্কারের জন্য ১৯০২ সালে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
#ম্যালেরিয়া রোগে রক্তের লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে রোগীর দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
#ম্যালেরিয়া রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য, অনিন্দ্রা, পেশিতে ব্যাথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
আক্রান্ত ব্যক্তির শীত অনুভূত হয় এবং কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে। জ্বর উচ্চ তাপমাত্রার (১০৪° - ১০৬° ফারেনহাইট) হয়ে থাকে।
দীর্ঘদিন যাবৎ #ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর যকৃত এবং প্লীহা অস্বাভাবিক স্ফীত হয়। আক্রান্ত রোগীর প্লীহা থেকে লাইসোলেসিথিন নামক পদার্থ নিঃসৃত হয় যা স্বাভাবিক লোহিত রক্তকণিকাতে ধ্বংস করে।
#ম্যালেরিয়া পরজীবীর জীবন চক্র দুটি পোষকে হয়ে থাকে – যথা: মানুষ এবং মশকী। মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া পরজীবী অযৌন পদ্ধতিতে জীবন চক্র সম্পন্ন করে। মশকীর দেহে পরজীবীগুলো যৌন জনন সম্পন্ন করে থাকে।
#ম্যালেরিয়া যেহেতু মশকীবাহিত রোগ, তাই মশকী প্রতিরোধের মাধ্যমে এ রোগ হতে মুক্ত থাকা সম্ভব। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে তিনটি পদক্ষেপ, যথা: (ক) মশকী নিধন, (খ) মশকীর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা, (গ) চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে।
• • •
Missing some Tweet in this thread? You can try to
force a refresh
বাংলাদেশে গত কয়েকবছর যাবৎ শহরাঞ্চলে জনসংখ্যার চাপ বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত নগরায়নের প্রধান কারণ হলো #শিল্পায়ন, নগরাঞ্চলে চাকুরির সহজলভ্যতা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বিলাসবহুল জীবন এবং শিক্ষার বিস্তার।
আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশও শিল্পায়নে জোর দিচ্ছে। ফলে শহরাঞ্চলে কাজ ও চাকুরির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অনেকে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে চলে যাচ্ছে এবং শহরাঞ্চলে জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শহরাঞ্চলে অধিক জনসংখ্যার চাপ পরিবেশ দূষণ, বনাঞ্চল উজার, বস্তি বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসের মতো অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগনকেও সচেষ্ট হতে হবে।